Admin Login
ওর্য়াড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
Ward Adarsha High School
সংবাদঃ
নোটিশ র্বোড
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভৈরব উপজেলায় শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগরগ্রামে ‘‘ওয়ার্ড আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়”অবস্থিত। শিমুলকান্দি ইউনিয়নের একাংশ (চাঁনপুর,রাজনগরওতুলাকান্দি) গ্রামের শিক্ষিত যুবকবৃন্দের উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ০৫/০৪/১৯৯৪ খ্রি. একমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অত্র এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বিশেষ করে নারী শিক্ষা প্রসারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এলাকা থেকে ৮কি.মিটারের ও বেশী দূরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহ অবস্থিত। তাই এতদূরবর্তী স্থানে গিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে পড়াশোনা করা কষ্টকর। সেই দিক বিবেচনা করে এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁনপুর গ্রামের মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ওবায়দুল হক বাবুল ও মোর্শেদ মিয়া,রাজনগর গ্রামের মোঃ আবদুর রউফ ও তুলাকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফা সহ অন্যান্য যুবকবৃন্দ। পরবর্তীতে ২৫/০৪/১৯৯৪ খ্রি. এলাকার গণ্যমান্য ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এইমত বিনিময় সভায় অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ‘‘ওয়ার্ড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, চাঁনপুর গ্রামের হাজী মোঃআলী আক্কাছ, ডাঃ ফারুক আহমেদ দুলাল, শাহাদাৎ হোসেন মাস্টার, আঃ আজিজ মাস্টার, মোঃ আকবার আলী, মাহমুদুল হক বাহার, রাজনগর গ্রামের আবু ছাঈদ বাচ্চু মিয়া, মোঃ আকবর আলী, মোঃ নেছার আহমেদ, তুলাকান্দি গ্রামের আবদুল বারিক, মোঃ খুর্শিদ মেম্বার ও আবু ছায়েদ মেম্বার সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য হাজী মোঃ আলী আক্কাছ সাহেবের নাম প্রস্তাব করা হয়। তিনি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য সার্বক্ষণিক পরিশ্রম করে যান এবং প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হন। ০১/০১/১৯৯৫ খ্রি. বিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ নূরুল হক, সহকারী শিক্ষক হিসাবে মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আনিসুজ্জামান রিপন, মোঃতাজুল ইসলাম, আশিষ কুমার দাস ও মাও.মোঃ রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও এলাকার শিক্ষিত যুবকবৃন্দ খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। বিদ্যালয়টির স্থানদাতাদের মধ্যে প্রথম ও অন্যতম জনাব আবদুল বারিক। তাঁর দেওয়া জায়গাটিতে প্রথম টিনশেড ঘর তৈরি করে বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। তিনি মৃত্যুবরণ করলে উনার ছেলে মোঃগিয়াস উদ্দিন ও মোঃ মফিজ উদ্দিন পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করেন। এছাড়া অন্যান্য স্থানদাতারা হলেন- হাজী মোঃ আলী আক্কাছ, ডাঃ ফারুক আহমেদ দুলাল, মোঃ সামসু মিয়া, জাহের মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও আবদুর রহমান। বিদ্যালয়টি ০১/০১/১৯৯৭ খ্রি. তারিখ থেকে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/০৪/১৯৯৯খ্রি. থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এম.পি.ও ভূক্ত হয়। পরবর্তী সময় ০১/০১/২০০৫ খ্রি.মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি ও ১/০১/২০১০ খ্রি.থেকে এম.পি.ওভূক্ত হয়। বিদ্যালয়টির এম.পি.ও প্রাপ্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুবায়ের আলম দানিছ অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। বিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব সায়দুল্লাহ মিয়া সাহেবের ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যালয়টি স্থাপনে প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য এবংতাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী ভৈরব-কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ-৬) আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব নাজমুল হাসানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বিদ্যালয়টির আজীবন দাতা ডাঃ ইন্দ্রজিৎ দাস, ডাঃ ফারুক আহমদ দুলাল, মোঃগিয়াসউদ্দিন ও ওবায়দুল হক বাবুল। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ভাল করে আসছে। তাছাড়া খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২৫ জন,জমির পরিমাণ ১১৮.৭৫ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ খ্রি.।

এস.এস.সি কর্নার
ডাউনলোড
মুজিব ও সুবর্ণ জয়ন্তী কর্ণার